বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমন্বয়কারীদের দুর্নীতি ও ব্যর্থতা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। যদিও এই সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে, বাস্তবে তাদের কার্যক্রমে নানা অসঙ্গতি ও ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
বিটকয়েনে অবৈধ অর্থ সঞ্চয়:
সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যেমন প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, বিটকয়েনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে সঞ্চয়ের অভিযোগের মুখে পড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গ্রামীণ পরিবারের প্রতি পক্ষপাতিত্ব:
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার গ্রামীণ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত অনুমোদন, কর মওকুফ, এবং সরকারের মালিকানাধীন শেয়ার হ্রাস। এছাড়া, ইউনুসের বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো বিচার প্রক্রিয়া শেষ না করেই খারিজ করা হয়েছে।
প্রশাসনিক ও নৈতিক ব্যর্থতা
বিচারহীনতা ও অপরাধীদের মুক্তি:
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার অনেক রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলেও, একই সঙ্গে বিভিন্ন অপরাধী ও নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যদেরও মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
প্রশাসনিক দুর্বলতা ও পক্ষপাতিত্ব:
সরকারি প্রতিষ্ঠানে আগের দলের প্রভাবের পরিবর্তে নতুন দলের প্রভাব বিস্তার ঘটেছে। দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি:
মব জাস্টিস, ধর্মীয় স্থানে হামলা, এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটলেও সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।