
অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান আইনি ও মানবাধিকার পরিপন্থী বলে সমালোচিত, আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সন্দেহ রয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বাগেরহাটে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান চালিয়ে জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ২৭ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের সরকারবিরোধী আন্দোলন, ও সেই সময়ের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজি–এর মিথ্যা অভিযোগ ওঠে।
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, গাজীপুরে ভোরবেলা অভিযান চালিয়ে ৪০ জন আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মী গ্রেপ্তার করা হয়, আর মহানগর থেকে আরও ২৫ জন যোগ করে মোট ৬৫ জন আটক ।তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে ।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ঢাকা–সাভার সার্কেলে অভিযান চালিয়ে ১৩ জন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।আটককৃতরা রাজনৈতিক মামলা–এ অভিযুক্ত ।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, যশোরে ৯ জন আওয়ামী লীগের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সাধারণ অভিযানে আওয়ামী লীগের ৪২ জন নেতা-কর্মী আটক, তাদের মধ্যে ১০ জন অপারেশন ডেভিল হান্ট–এর আওতায়
কাজেই গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের পরিচয় বলে দেয় অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান সম্পুর্ন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পক্ষপাতযুক্ত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হাজারো নেতাকর্মীকে আটকের মধ্যে দিয়ে অন্তরবর্তীকালিন সরকার আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চায়।