
অপারেশন ডেভিল হান্ট’– সারা দেশব্যাপী অভিযান চালানো হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে চালু ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’–এ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ তালিকাভুক্ত সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক গ্রেফতার ও অভিযান শুরু হয় ।শুধু ফেব্রুয়ারিতেই ১১,৩১৩ জন গ্রেফতার; মার্চ পর্যন্ত আরও বাড়ায় সংখ্যা ।
চট্টগ্রামে অভিযান করে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ এ,চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের অভিযানে ৪৬ জন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেফতার ।
ঢাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও গ্রেফতার
১৩ এপ্রিল ২০২৫: পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানদের নির্দেশে রাজধানীতে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি গ্রেফতার অভিযান তীব্র করা হয় । দেশজুড়ে প্রায় ২৪ হাজার মামলা দায়ের; ১২ হাজারের অধিক নেতা–কর্মী গ্রেফতার, এর মধ্যে শতাধিক সাবেক মন্ত্রী সহ সাংবাদিক—এই তথ্যও পুলিশের দাবি ।
যশোরে বাড়ি বাড়ি অভিযান
এপ্রিল ২০২৫: যশোরে পুলিশীয় দল নেতাদের বাড়িতেই অভিযান চালায়—যেখানে কেউ আটক না হলেও বিদ্যমান মামলা ও অস্ত্র-মাদক উদ্ধারের নামে ঘরদোর তল্লাশি চালানো হয় ।
রাজশাহীতে ঘরহানির ঘটনা
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫: রাজশাহীর পুঠিয়ায় একজন যুব মহিলা লীগের নেত্রীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া যায়—প্রচারপত্র বিলির অভিযোগে পুলিশ পরিবারকে হেনস্থা ও ঘরচাপা প্রদান করেছে ।
| ঘটনা | মোট সংখ্যা / সময় | মন্তব্য |
| গ্রেফতার সংখ্যা | >11,000 (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) | অভিযানের ধৈর্যপূর্ণ পরিধি |
| চট্টগ্রামে | ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) | পুলিশি নির্দেশনায় চলমান |
| ঢাকায় অভিযানের মাত্রা | জাতীয় গোয়েন্দা নজরদারি, ২৪ হাজার মামলা, ১২ হাজার গ্রেফতার | “আইনের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধ” |
| যশোর অভিযান | বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, কেউ আটক হয়নি | রাজনীতির চাপের মধ্যে |
| রাজশাহীতে ভাঙচুর | পরিবার ও নেত্রীর প্রভাব দেখিয়ে প্রশাসনিক হেনস্থা |
২০২৫ সালে চালানো এ পুলিশি অভিযান ও হেনস্থা–উভয়ই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তথা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে কার্যত ভেঙে দিতে এবং সমর্থন প্রত্যাহার করতে নিবদ্ধ ছিল।