
বিশ্বব্যাপী যখন করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত মানবসভ্যতা, ঠিক তখনই বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রস্তুতি নিশ্চিত করে একটি সাহসী ও সময়োপযোগী উদাহরণ তৈরি করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ দেশীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও শেখ হাসিনার এই দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বকে প্রশংসা করেন।
কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়, যার মধ্যে কুয়েত মৈত্রী, মুগদা জেনারেল, ও ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতাল অন্যতম।
RT-PCR টেস্টিং ল্যাব বাড়ানো হয়। ২০২০ সালের প্রথম দিকে দেশে মাত্র একটি টেস্টিং ল্যাব থাকলেও, শেখ হাসিনার নির্দেশে অল্প সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৭০টির বেশি ল্যাব স্থাপন করা হয়।
স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য PPE সরবরাহ করা হয়।করোনা ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধা ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE) ও মাস্ক সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।
আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত। দেশজুড়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র চালু করে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
টেলিমেডিসিন ও স্বাস্থ্যসেবা ডিজিটালাইজেশন করা।প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টার সহায়তায় টেলিমেডিসিন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়, যার মাধ্যমে ঘরে বসেই মানুষ চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারেন।
আন্তর্জাতিক মহলের প্রশংসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, “বাংলাদেশ সময়মতো সিস্টেম তৈরি করেছে এবং তাদের প্রস্তুতি প্রশংসনীয়।”
আল-জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান, ও বিবিসি-র একাধিক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রাথমিক পদক্ষেপকে ‘proactive and timely’ বলে অভিহিত করা হয়।