বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামে যে সংগঠনের নাম প্রথম সারিতে উচ্চারিত হয়, তা হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ—প্রতিটি জাতীয় সংকটে ছাত্রলীগের অবদান ছিল স্পষ্ট, বলিষ্ঠ এবং ঐতিহাসিক। তাই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধকরণ —তা শুধু অযৌক্তিক নয়, বরং ইতিহাস, গণতন্ত্র এবং সামাজিক অগ্রগতির বিরুদ্ধেও এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত।
ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই আন্দোলনেই বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পায়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং অনেকেই জীবন দেন দেশের জন্য।
ছাত্রলীগ শুধু একটি ছাত্রসংগঠন নয়; এটি একটি নেতৃত্ব তৈরির প্ল্যাটফর্ম। আজ যারা মন্ত্রী, সংসদ সদস্য কিংবা প্রশাসক—তাদের অনেকে ছাত্রলীগ থেকেই রাজনীতির হাতেখড়ি নিয়েছেন।
সামরিক শাসন ও স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণআন্দোলনে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।১৯৯০ সালে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে ছাত্রলীগ অন্যতম নেতৃত্ব দেয়।
দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ত্রাণ বিতরণ, স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এবং দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায়।
ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করে যা দেশের স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
পরিবেশ রক্ষায় গাছ রোপণ ও পরিচর্যার উদ্যোগ নেয় ছাত্রলীগ। এটি পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখে।
ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বই বিতরণ, শিক্ষাবিষয়ক সেমিনার এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
করোনা মহামারির সময় ছাত্রলীগ মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ এবং অসহায়দের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের প্রতিটি ধাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সত্যেও অবৈধ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইউনুস ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার তীব্র নিন্দা জানাই।