নির্বাচন এবং তার ফলাফল নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যে শুরু হয়েছিল ২০১৯ সাল।
মাত্র ৭টি আসন পেয়ে ড: কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম এবং বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজনৈতিক সব হিসাব নিকাশ পাল্টে গিয়েছিল।
তবে নির্বাচন নিয়ে অনেক প্রশ্ন এবং নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করার নানান অভিযোগের মুখে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করেছিল।
টানা তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের ৭ই জানুয়ারি বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁকে এবং মন্ত্রীসভার সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু এবং মতিয়া চৌধুরীর মতো আওয়ামী লীগের পুরোনো রাজনীতিকরা এবং জোটের শরিকদের কেউ জায়গা পাননি এই মন্ত্রীসভায়।
বেশির ভাগ নতুন মুখ নিয়ে গঠিত এই মন্ত্রীসভা তখন নির্বাচন ঘিরে আলোচনাকে ছাপিয়ে দক্ষতা-অদক্ষতার প্রশ্নে ভিন্ন আলোচনার জন্ম দিয়েছিলো।
মানবাধিকার কর্মি এবং বিশ্লেষক সুলতানা কামাল বলছিলেন, সরকার কোন প্রশ্ন বা বক্তব্য আমলে না নিয়ে নিজেদের মতো করে চলেছে এবং তার নেতিবাচক প্রভাবটাই বেশি পড়ছে।
“যেহেতু নির্বাচনটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। তার ফলে সরকার গঠনের পর যে প্রবণতাটা তাদের মধ্যে দেখা গেছে, সেটা হচ্ছে, তারা নিজস্ব ভঙ্গিতে এবং নীতিতে সরকার চালিয়ে গেছে। সেখানে কিছু ভাল ফল হয়তো পাওয়া গেছে। কিন্তু জবাবদিহিতার জায়গাটা বিলুপ্ত হয়েছে।”