
ডেঙ্গু একটি প্রাণঘাতী ভাইরাসজনিত রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাননীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ জনগনের উদ্দেশ্য বিবৃতি দিয়েছেন এবং সামাজিক সচেতনতা মূলক কাজের আহবান জানান ।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পর্যায়ে করণীয়:
সপ্তাহে অন্তত একবার যে কোনও পাত্রে জমে থাকা পানি ফেলে দিন (টব, ড্রাম, ফুলের পাত্র, এসির নিচের পানি ধারণকারী পাত্র, ফ্রিজের ট্রে ইত্যাদি)।প্লাস্টিক বোতল, টায়ার, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা – এসব জিনিস যেন খোলা জায়গায় পানি ধরে না রাখে, নিশ্চিত করুন।জলাবদ্ধতা যেন না থাকে, সেই দিকে নজর দিন।মশারি ব্যবহার করুন, বিশেষ করে দিনে ঘুমানোর সময়।দরজা-জানালায় মশানেট লাগান। মশা তাড়ানোর ক্রিম, স্প্রে বা কয়েল ব্যবহার করুন।
সমাজ ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে করণীয়: জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট, পোস্টার, সেমিনার, মাইকিং ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা।স্কুল-কলেজ ও মসজিদে ডেঙ্গু বিষয়ে আলোচনা ও সতর্কতা প্রচার।
গণপরিষ্কার অভিযান (কমিউনিটি ক্লিন-আপ): পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে সামাজিকভাবে পরিষ্কার অভিযান চালানো। স্থানীয় প্রশাসন, ছাত্রসংগঠন, এনজিও নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ।
মশা নিধনের ব্যবস্থা: সিটি কর্পোরেশনকে নিয়মিত ফগিং ও লার্ভিসাইডিং করতে চাপ দেওয়া।ড্রেন, খোলা পানির রিজার্ভার ইত্যাদিতে বায়োলজিক্যাল বা কেমিক্যাল মশা নিধন উপায় ব্যবহার।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় করণীয়: জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, ও নিজে ওষুধ না খান (বিশেষ করে অ্যাসপিরিন/ব্রুফেন নয়)।স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও রক্তের প্লাটিলেট পর্যবেক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করা।হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট, পর্যাপ্ত বেড ও চিকিৎসক থাকা উচিত।