প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
১৭ই মে—জাতির ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন। ১৯৮১ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসন শেষে বাংলার মাটিতে পা রাখেন। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের সংগ্রাম, শুরু হয় আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের এক নতুন অধ্যায়।
এই ঐতিহাসিক দিনকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজন করে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী নেতৃবৃন্দ, সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী, সাংবাদিক ও সুধীজন। আলোচনায় বক্তারা শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চিত্র উপস্থাপন করেন।
বক্তারা বলেন—
“শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল ইতিহাসের বাঁকবদলের মুহূর্ত। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের হাল ধরেননি, তিনি পুরো জাতির আশার আলো হয়ে ফিরে এসেছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।”
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় এক দোয়া মাহফিল, যেখানে বঙ্গবন্ধু পরিবারসহ সব শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এই আয়োজন কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি ছিল প্রবাসে থেকেও মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্ববোধ, ইতিহাসচেতনা ও নেতৃত্বের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনা আবার মাতৃভূমিতে ফিরে আসবে, আর সেই যাত্রায় প্রবাসীরাও হয়ে উঠবে বলিষ্ঠ সহযাত্রী।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।