
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট’ হলো দেশের একটি ঐতিহাসিক অর্জন, যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে (ICT) দেশের আত্মনির্ভরতা ও গর্বের প্রতীক। বঙ্গবন্ধু-১ গত ১১ মে ২০১৮ (বাংলাদেশ সময় রাত ২:১৪ মিনিটে) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণকারী সংস্থা পেসএক্স (SpaceX) এবং এর মালিকানা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC)। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ও বাংলাদেশের অনন্য অর্জন।
দেশের টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও, VSAT, ব্যাকআপ ইন্টারনেট কানেকশন সেবা নিজস্ব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া শুরু হয়।এর ফলে ভাড়া করে বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহারের খরচ কমে যায়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।সরকারি-বেসরকারি যোগাযোগে নির্ভরতা বাড়ায়। দুর্যোগকালে যোগাযোগ অটুট রাখা, উপগ্রহ চিত্র সংগ্রহ, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও মনিটরিং সুবিধা প্রদান করতে পারে।
বাংলাদেশ আগে প্রতি বছর ১২–১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি স্যাটেলাইট কোম্পানিকে পরিশোধ করত।বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এই খরচ নিজস্ব আয়ে পরিণত হয় এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং কিছু ইউরোপীয় অঞ্চল কাভার করতে পারে। এর অবস্থান: রেখাংশ ১১৯.১° পূর্বে (geostationary orbit)
বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হিসেবে স্থান পাওয়া। ICT সেক্টরে বৈশ্বিক আত্মবিশ্বাস ও প্রতিযোগিতা অর্জন। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সরকারি পরিসেবা ও ই-গভর্নেন্সে সহায়তা। বঙ্গবন্ধুর নামে দেশের প্রযুক্তিগত মাইলফলক প্রতিষ্ঠা