বাংলাদেশে গতবছর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার এবং মেহেরুন রুনির নিজ বাসায় খুন হওয়ার ঘটনার ঠিক এক বছর পরে তদন্তকাজে অগ্রগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ সোমবার সাংবাদিক সমাজ সুষ্ঠূ বিচারের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে।
ঘটনার প্রকৃত রহস্য খুঁজে বের করার এবং ‘প্রকৃত খুনিদের’ ধরতে তারা নতুন কর্মসূচিও দিচ্ছেন। তাদের বক্তব্য তদন্তের অগ্রগতির অভাব তাদের মাঝে ক্ষোভ এবং আস্থার সংকট তৈরি করেছ।
তবে সাধারণ মানুষের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, কিন্তু শুধু সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করাকে তারা যথেষ্ট বলে মনে করছেন না।
দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে অভিযোগপত্র দেওয়ার পাশাপাশি এই হত্যাকান্ডের পেছনের কারণ খূঁজে বের করার দাবি জানান তারা।
পুলিশ বলছে, এই হত্যাকান্ডের জট খুলতে সর্বশেষ গত শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া নিহত সাংবাদিক দম্পতির বাসার নিরাপত্তাকর্মী হুমায়ুন কবীর এনামুলের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
তবে সাংবাদিকরা বলছেন, একবছর যথেষ্ট সময়। তাই দ্রুত অপরাধীদের ধরতে এবং রহস্য খুঁজে বরে করতে তারা সরকার ও আইনশৃঙ্খখলা বাহিনীকে একমাস সময় দিয়েছেন।
এরপর ১১ই মার্চ চব্বিশ ঘন্টা গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিস্টার চৌধূরী মনে করেন, একবছরেও একটি হত্যা মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি না থাকলে নিরাপত্তাহীনতা এবং ক্ষোভ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।
আলোচিত এই হত্যার ঘটনাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মাঝেও রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
কেউ কেউ মনে করেন এই হত্যাকান্ডে রহস্যের জট খুলছে না কারণ এর পেছনে প্রভাবশালী লোকজন জড়িত আছে।
বিষয়টি অনেকের মাঝে নিরাপত্তাহীনতার বোধও তৈরি করেছে।
আবার অনেকের মতে, সরকার চাইলে এই বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
গত বছর ১১ই ফ্রেব্রুয়ারি ভোরে ঢাকার রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসা থেকে এই সাংবাদিক দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এরপর আলোচিত এই হত্যাকান্ডের তদন্তে পুলিশর শীর্ষ পর্যায় থেকে প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতির দাবি করা হয়।