
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের “ডিজিটাল বাংলাদেশ” কর্মসূচি একটি জাতীয় অগ্রাধিকারভিত্তিক উদ্যোগ, যার মূল লক্ষ্য ছিল ২০২১ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন করা। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ কর্মসূচির বাস্তবায়নে বেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়।
ই-সেবা (Digital Public Services)
২০১৮ সালে ৪,৫০০+ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC)-এর মাধ্যমে প্রায় ৩০০ প্রকার সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রদান করা হয়। নাগরিকরা ঘরে বসেই জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, ফরম পূরণ, আবেদন, বিদ্যুৎ বিল, রেল টিকিট ইত্যাদি পাচ্ছিলেন।
ই-গভর্নেন্স ও অফিস ডিজিটাইজেশন
সরকারের প্রায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ই-ফাইলিং (Nothi software) চালু করে।২০১৮ সালে বেশ কয়েকটি ই-সার্ভিস পোর্টাল ও অ্যাপ (যেমন: MyGov) চালু হয়।প্রায় ২৫,০০০ সরকারি কর্মকর্তাকে আইসিটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
ইন্টারনেট ও কানেক্টিভিটি বিস্তার
ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ২০১৮ সালে দাঁড়ায় প্রায় ৯ কোটির বেশি।ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রায় সব উপজেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছানো হয়। ৪জি চালু হয় ২০১৮ সালে।
ডিজিটাল শিক্ষা ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম
দেশের প্রায় ২৩ হাজার স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন।শিক্ষক প্রশিক্ষণে ICT অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য ই-বুক ও অনলাইন পাঠক্রম চালু হয়।
ফ্রিল্যান্সিং ও ডিজিটাল উদ্যোক্তা
বাংলাদেশ ২০১৮ সাল নাগাদ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়।প্রায় ৬ লাখ তরুণ ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করছিলেন।বিভিন্ন উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রকল্প যেমন: “লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং” প্রজেক্ট চলমান ছিল।