২০১৮ সালের পুরো সময়টাতেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনায় ছিল। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী কার্যক্রমের তৎপরতা অক্টোবরের শুরু থেকে দেখা যায়।
১৩ই অক্টোবর গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি এবং কয়েকটি ছোট দল জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নামে নতুন একটি জোট গঠনের কথা ঘোষণা করে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সংসদ বাতিলসহ আরো কিছু দাবি তোলে তারা। পরে ২৪শে অক্টোবর এসব দাবি নিয়ে সিলেট শহরে প্রথম জনসভা করে তারা।
ঐ প্রস্তাবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংলাপে বসতে রাজী হওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে বিরোধী দলীয় নেতারা বিস্মিত হন।
পরে অবশ্য ৭ই নভেম্বর সরকার ও ঐক্যফ্রন্ট আরো এক দফায় সংলাপে বসলে কার্যতঃ কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। পরের দিনই মতপার্থক্য আর বিতর্কের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন।
তখন ২৩শে ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে অবশ্য তা পিছিয়ে ৩০শে ডিসেম্বর নেওয়া হয়।